৬ দফা গুলো কি কি | ছয় দফা মনে রাখার কৌশল
ছয় দফা মনে রাখার কৌশল: বাংলা জাতির ইতিহাসে ৬ দফা আন্দোলন একটি মাইলফলক। এটি শুধু একটি রাজনৈতিক দাবিপত্র নয়, বরং একটি জাতির আত্মপরিচয়ের ডাক, স্বাধীনতার রূপরেখা। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই ৬ দফা উত্থাপন করেন, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ রোপণ করে।
শিক্ষার্থীদের কিংবা আগ্রহী পাঠকদের জন্য এই ছয়টি দফা নির্ভুলভাবে মনে রাখা অনেক সময় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এই লেখা আমরা আলোচনা করবো, ছয় দফা মনে রাখার কৌশল যা আরও সহজবোধ্য করে তুলবে।
৬ দফা গুলো কি কি?
ছয় দফার দাবিসমূহ হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো:
- শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি: পাকিস্তান হবে একটি প্রকৃত অর্থে ফেডারেল রাষ্ট্র এবং এর শাসনব্যবস্থা হবে পার্লামেন্টারি।
- কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা: কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকবে শুধু প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতি সংক্রান্ত ক্ষমতা।
- মুদ্রা বা অর্থ-সম্পর্কিত ক্ষমতা: পূর্ব পাকিস্তান পাবে নিজস্ব মুদ্রা বা বিকল্পভাবে দুটি অঞ্চলের জন্য পৃথক মুদ্রাব্যবস্থা।
- রাজস্ব, কর বা শুল্ক-সম্পর্কিত ক্ষমতা: পূর্ব পাকিস্তান নিজস্ব রাজস্ব ও কর আদায়ের পূর্ণ অধিকার ভোগ করবে।
- বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা: পূর্ব পাকিস্তান নিজের বৈদেশিক বাণিজ্য ও উপার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
- আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা: পূর্ব পাকিস্তানে একটি আলাদা মিলিশিয়া বা প্যারা-মিলিটারি ফোর্স গঠন করা হবে।
ছয় দফা মনে রাখার কৌশল
আপনি যদি শিক্ষার্থী , শিক্ষক কিংবা সাধারণভাবে ইতিহাস ভালোবাসেন — তাহলে এই ছয় দফা মনে রাখার কৌশল আপনার জন্য হবে একটি কার্যকর সহায়ক হাতিয়ার।
কৌশল: শাসনতান্ত্রিক কাঠামোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতাবলে মুদ্রা, রাজস্ব, বৈদেশিক বাণিজ্য ও আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের প্রয়োজন।
ব্যাখ্যা:
১. শাসনতান্ত্রিক কাঠামোর জন্য = শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি
২. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতাবলে = কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা
৩. মুদ্রা = মুদ্রা বা অর্থ-সম্বন্ধীয় ক্ষমতা
৪. রাজস্ব = রাজস্ব, কর বা শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা
৫. বৈদেশিক বাণিজ্য = বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা
৬. আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের = আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা